শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

ইমরান-কুরেশির ১০ বছরের কারাদণ্ড

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস বা সাইফার মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত এই রায় দিয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পাকিস্তানের অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের আওতায় স্থাপিত এক বিশেষ আদালত এই রায় দিয়েছে। ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই রায়কে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যা দিয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের কথাও জানিয়েছে পিটিআই।

ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই সাইফার মামলাটি মূলত একটি কূটনৈতিক নথি বা তারবার্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির অভিযোগ, এই নথি ইমরান খান সরকারের কাছ থেকে নিয়ে নিজের কাছে রেখেছেন এবং কখনই ফেরত দেননি। পিটিআইয়ের অভিযোগ, এই নথিতে ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির প্রমাণ আছে।

ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে এই রায় এমন এক সময়ে এল যখন দেশটির গণপরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আর মাত্র সপ্তাহ খানিক বাকি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে ইমরান খানের দল পিটিআই যে অংশগ্রহণ করতে না পারে সে বিষয়ে দেশটির নির্বাচন কমিশন ব্যাপক পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে। পিটিআইয়ের অভিযোগ, সরকার তাদের বিরুদ্ধে অলিখিত ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে।

এ নিয়ে দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খানের সাজা হলো। এর আগে, রাষ্ট্রীয় তোশাখানা থেকে উপহার নেওয়ার মামলায়ও তাঁকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত বছরে ৫ আগস্ট দেওয়া সেই রায়ে ইমরান খানের ৩ বছরের সাজা হয়। তবে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট তাঁর সাজা স্থগিত করেছিল। কিন্তু পরে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই সাজা স্থগিতের বিষয়টি বাতিল করে।

উল্লেখ্য, ‘সাইফার মামলা নামে’ পরিচিত এই মামলায় প্রথমবারের মতো ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কুরেশিকে অভিযুক্ত করা হয় ২০২৩ সালের অক্টোবরে। পরে গত নভেম্বরে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এই মামলাকে অন্তঃসারশূন্য বলে অভিহিত করেছিলেন এবং ঘোষণা দিয়েছিলেন কারাগারে বিশেষ আদালত স্থাপন করে এই মামলা চালানো ‘বেআইনি।’

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION